শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের শাক-সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। প্রায় সকল শাক-সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালে। এতে স্বস্তিতে ফিরছে ক্রেতাগণ, তবে পূর্বের মতোই রয়েছে মাংসের বাজারে অস্তিরতা।
এক সপ্তাহ আগেও যে সবজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন নেমে ১০-২০ টাকায়। সবজির দাম নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দামের ওপর তাদের নির্ভর করতে হয়। পাইকারি বাজারে দাম কম থাকলে তারা কমেই বিক্রি করেন সবজি। মাস্টারপাড়া বাজারে দেখা যায়, পুঁইমুচরি ২০ টাকা কেজি, আলু ১৫-২০ টাকা কেজি, মিস্টি আলু ৩০ টাকা কেজি, ফুলকপি, শিম, বেগুন, বাঁধাকপি, গাজরে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে, টমেটো ৩০ টাকা কেজি, ফুলকা ৫-১০ টাকা আটি, পালং শাক ১০ টাকা আটি, সবুজ শাক ১০ টাকা, খেসারি শাক ৩০ টাকা আটি এবং দেশি গাজর ১০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায়, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া মুরগীর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগীতে ১০ টাকা কমে ১৪০ টাকা, সোনালী মুরগী ৫০ টাকা কমে ২৫০-২৮০ টাকায়, ও লাল ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়।
মাংসের পাশাপাশি উর্ধ্বগতিতে রয়েছে ইলিশ মাছের দাম, বড় ইলিশ ৯০০ টাকা, মাঝারি ইলিশ ৭৫০ টাকা ও ছোট ইলিশ ৫০০-৬৫০ টাকায়। তবে পূর্বের দামেই বিক্রি হচ্ছে অনান্য মাছ, রুই ২৪০ টাকা, কাতল ২৮০ টাকা, মির্কা ৩২০ টাকা, টেংরা ৭২০ টাকা, পুঁটি ৬০ টাকা, দেশি কই ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ টাকা, গড়ই ২০০ টাকা, টাকি মাছ ৫০০ টাকা, রুপচাঁদা মাঝারিটা ৭০০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ থেকে আকার ভেদে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।